আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Al-Azhar University) (AHZ-har ; আরবি: جامعة الأزهر (الشريف) Jāmiʻat al-Azhar (al-Sharīf), মিশরীয় আরবি: ˈɡæmʕet elˈʔɑzhɑɾ eʃʃæˈɾiːf, "the (honorable) Azhar University") হল মিশরের, কায়রো
নগরীতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। ইসলামী শিক্ষার উদ্দেশ্য
নিয়ে একটি কেন্দ্র হিসেবে ফাতেমীয় বংশ দ্বারা ৯৭০ বা ৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত
হয়। এটির ছাত্ররা কুরআন এবং বিস্তারিতভাবে ইসলামী আইন শিক্ষা গ্রহণ করেন,
বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, অলঙ্কারশাস্ত্র, এবং
কিভাবে চাঁদের চান্দ্র পর্যায়ক্রমে নিরূপণ সম্পর্কে। একই জায়গায়
বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে পড়াশুনা, এটি পাঠ্যক্রমের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ
বিষয় সহ একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য বিশ্বের
প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এটি আজ আরবি সাহিত্যের এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিশ্বের প্রধান কেন্দ্র।[১] এটা মিশরের প্রাচীনতম ডিগ্রী গ্রান্টিং বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬১ সালে অতিরিক্ত অ ধর্মীয় বিষয়ের তার পাঠ্যক্রমের যোগ করা হয়।
সূত্র- wikipedia.org
আবেদনের তারিখ ও সময় এবং কত জন চ্যান্স পাবে-
সূত্র- wikipedia.org
আবেদনের তারিখ ও সময় এবং কত জন চ্যান্স পাবে-
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ১০ জন ছাত্র আল
আযহারের স্কলারশিপ পান। ২-৩ বছর আগে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে
আল আযহারের স্কলারশিপ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হতো এবং সেখানেই লিখিত
পরীক্ষা ও ভাইভার মাধ্যমে ১০ জন মেধাবী ছাত্রকে বাছাই করা হতো। কিন্তু গত
কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা
হয়। সেখানেই আবেদন প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য বিবরণী দেয়া থাকে।
বলাই বাহুল্য, প্রতিবছর এই স্কলারশিপের কিছু
না কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। এই কারণে নির্দিষ্ট করে কোনো কাগজপত্রের
কথা বলা হচ্ছে না। তবে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পেতে দাখিল ও
আলিমের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, আলিমের প্রশংসাপত্র, জন্ম সনদ, মেডিক্যাল
সার্টিফিকেট, পুলিশ-ক্লিয়ারেন্স, ছবি ইত্যাদি লাগে।
আবেদন শেষ হওয়ার পরে যাদের বাছাই করা হয়,
তাদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর সুযোগ
পাওয়া ১০ জন মেধাবী ছাত্রের সমস্ত কাগজপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তারা মিশর এমব্যাসিতে পাঠিয়ে দেয়। মিশর
এমব্যাসি আবার সব কাগজপত্র মিশরের বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করে। তারপরে
মিশরের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে যখন মিশরের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় থেকে মুয়াফাকা
আমানিয়া চলে আসে বাংলাদেশের মিশর এ্যমব্যাসিতে তখন ওই ১০ জন ছাত্রকে ভিসা
নেয়ার জন্য ডাকা হয়।
আরোও পড়ুনঃ-
স্কলারশিপে আযহারী ইউনির্ভাসিটিতে পড়ার সুযোগ সুবিধা-
- বাংলাদেশ থেকে আসা ১০ জন ছাত্রকে বিমানবন্দর থেকে আনার জন্য বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মিশর-এর ছাত্র ভাইয়েরা তাদের গ্রহণ করে গাড়িতে করে আল-আযহার এর হোস্টেলে নিয়ে আসবে,
- ফ্রি থাকার ব্যাবস্থা,
- ফ্রি ৩ বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা,
- প্রতি বছর কিতাব ক্রয়ের জন্য অর্থ প্রদান,
- ছাত্রদের জন্য ফ্রি কুরআন মুখস্ত করার কোর্স,
- মারকাজ-এর মাধ্যমে ফ্রি আরবি ভাসা শিক্ষা কোর্স,
- মিশরের সমস্ত দর্শনিয় স্থানে ফ্রি ভ্রমণ করা,
- প্রতি মাসে ছাত্রদের জন্য মিশরিয় ৫০০ পাউন্ড প্রদান,
- এখানে এসে ২ বছর ছানাবিয়াহ (আলিম) শেষ করলে বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার টিকিট প্রদান,
- অনার্স ২ বছর শেষ করলে বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার টিকিট প্রদান,
- অনার্স শেষে একবারে চলে যাওয়ার টিকিট প্রদান,
- আর যদি কেউ অনার্স শেষ করে এখানে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি করতে চান, তাহলে মাস্টার্স-এ তাকদিম করলে বাড়ি যাওয়া-আসার টিকিট প্রদান,
- আর সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটা এ বছর থেকে চালু হয়েছে তা হলো বাংলাদেশের আলিম-এর সার্টিফিকেট-এর সঙ্গে আল-আযহার এর ছানাবিয়াহ (আলিম) সার্টিফিকেট-এর মোয়াদালা করা হয়েছে। আগে ছাত্রদেরকে এখানে এসে মাহাদে ভরতি হতে হতো, তারপরে সেখানে পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে তারা কোনও না কোনও শ্রেণিতে সুযোগ পেতো, ফলে দেখা যেতো, তাদের অনেকের অনার্স-এ উঠতে প্রায় ৩-৪ বছর লেগে যেতো। কিন্তু এবার মোয়াদালা হওয়ার কারণে মাত্র এক বছরের একটা মারকাজুল লুগাহ কোর্স করে সরাসরি অনার্স-এ ভর্তি হতে পারবে (এটা হলো যাদের বাংলাদেশের আলিয়া মাদ্রাসার সার্টিফিকেট আছে, শুধু তাদের মোয়াদালা)।
- আরেকটি সুবিধা হলো এখানে যেকোনও বয়সের লোক এসে ভর্তি হতে পারবে, যেমন- আলিয়া, কওমি, ইংলিশ মিডিয়ামসহ সব মাধ্যমের শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। তারা এখানে এসে যে ক্লাস পাবে, সেখান থেকে আস্তে আস্তে অনার্স লেভেলে যাবে।
এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কোনো সহযোগিতা লাগবে কি,,,,,?
ReplyDelete