স্ত্রী অবাধ্য হলে যা করবেন
অবাধ্য স্ত্রী
স্বামীর কথা মানে না, স্বামীর মন মত চলতে চায় না। সুতরাং পর্দায় ও থাকে না। স্ত্রীকে
বাধ্য করতে না পারলে সংসার একটা সং হয়ে দাঁড়ায়, তাতে কোনই সার থাকে না। নিম্নে বর্ণিত
নিয়মগুলো পালন করতে পারলে শত অবধ্য স্ত্রী হলেও বাধ্য হবার সম্ভাবনা আছে।
১. স্ত্রী
শত অন্যায় করুক তাকে কখনও প্রহার করতে হয়না। কেননা মুখের কথার যে শাসন মানে না, প্রহার
করলে সে আরও বেপরোয়া হবে। খুব বেশীর পক্ষে মেসওয়াক দিয়ে তার চেহারা বাদ দিয়ে দেহের
অন্যত্র এক আধটি বাড়ি দেয়া যায়। স্ত্রীর ব্যবহার বেশী অসহ্য হলে, তাকে ছেড়ে দেওয়াই
ভাল। কেন না বেপরোয়া স্ত্রীলোক নিয়ে ঘর করা, আর কোলের মধ্যে একটা বিষধর সাপ দুধকলা
দিয়ে পুষে রাখা একই কথা।
২. রাতদিনই
তাকে তার ত্রুটি ধরে খোটা দিতে হয় না। রাগের সময় মুখের খোটার কথা এসে যায় কিন্তু তা
কষ্ট করে চাপিয়ে রাখতে হয়।
৩. তার রান্না
বান্না খারাপ আসলে যত হয়, তত খারাপ বলতে হয় না এবং যখন রান্না ভাল হয়, তখন বলে দিতে
হয়, তোমার মত এত মজার পাক আর কে করতে পারে। নরীরা সবচেয়ে ব্যথা পায় তাদের রান্না খারাপ
হয়েছে শুনলে । কেন না শত উদ্ভট স্ত্রী হোক তার রান্না কোনদিনও সে ইচ্ছা করে খারাপ করার
চেষ্টা করে না। সুতরাং এক কষ্ট করে পাক করেও যখন সে প্রশংসা পায় না বরং প্রশংসার বদলে
উল্টে বকুনি শোনে, তখন তার মন স্বামীর উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে যায় এবং এ ভাবে ধীরে ধীরে
সে স্বামীর আয়ত্বের বাহিরে চলে যায়।
৪. স্ত্রীকে
তার পিতামাতা বা বংশ তুলে সব সময় খোটা দিতে হয় না, এটা তার মনের উপর স্বামীর বিরুদ্ধে
প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
৫. শুশুড়ীর
দুর্ব্যবহারে অধিকাংশ স্ত্রীরই স্বামীর উপর থেকে একেবারেই মন উঠে যায়, যদি স্বামী স্ত্রীকে
নিরালায় ভালবাসা দিয়ে বা বুঝিয়ে শাশুড়ী বা ননদের দেয়া যন্ত্রণাকে ভুলিয়ে না রাখতে পারে।
৬. সব সময়
মনে রাখতে হয়, স্ত্রী তার পিতামাত, ভাইবোন, আত্নীয় স্বজন সব ছেড়ে শুধু মাত্র্র একজন
পুরুষকে আশ্রয় করে থাকে কাজেই এ পুরুষও যদি তার ব্যথা না বুজে, তবে তার দুঃখের আর সীমাই
থাকে না।
৭. স্ত্রীকে
দীর্ঘদিন মা-বাপের বাড়ীতে থাকতে দিতে হয় না, এর ভবিষ্যত ফল খারাপ হয়।
৮. সাধ্বী
স্ত্রীর জন্য বাহাত্তরে উপন্যাস বা বই পুস্তক একেবারেই বিষতুল্য।
৯. যে সব
মেয়ে মানুষ বেপর্দায় চলাচল করে, স্ত্রীকে তাদের সঙ্গে মিশতে দিলে স্ত্রীর মন স্বামীর
উপর বিরুপ হবে। বিশেষ করে ধনী মানুষের বেপর্দা স্ত্রীরা তো সাধ্বী স্ত্রীদের জন্য অজগর
তুল্য।
১০. মাঝে
মাঝে স্ত্রীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করা চাই, যাতে করে সে যেন বোঝে সে তাকে আসলেই অনেক
ভালোবাসে ।যেমন- হয়ত বাগান থেকে একটা ফুল এনে তার খোঁপার গুজে দিয়া বলা গেল,তোমাকে
ভালবাসার নিদর্শন সুরুপ এটি দিলাম।
১১. যে অঙ্গটি
প্রশংসার যোগ্য, তার প্রশংসা করে বল তোমার মত এমন সুন্দর চোখ আমার চোখে পরেনি।
১২. স্ত্রীকে
সাধ্যমত সাজিয়ে রাখতে হয়। একদিন না খেয়ে থাকতে হলেও স্ত্রীকে ভাল কাপড়চোপড় বা প্রসাধণী
দিতে হয়। স্ত্রীকে বিচ্ছিরি করে রাখলে স্বামী কোনদিনও স্ত্রীকে ভালবাসতে পারবে না।
সাধ্বী স্ত্রীরা স্বামীর যে কোন সাধারণ কাপড়চোপড় পছন্দ করলে স্বামীই ঠকবে বেশি যদি
স্ত্রীকে সাধারণভাবে রাখা হয়।
১৩. মাঝে
মাঝে স্ত্রীকে অবশ্যই ধর্মের কিতাব-পত্র পড়তে সুযোগ দিতে হবে এবং মাঝে মধ্যে তাকে ধর্মের
নছিহত করতে হবে। এতে তার মন পরকালের দিকে ঝুকবে। ফলে তার উদ্বত স্বভাব দমে আসবে।
১৪. যদি কোন
দিন স্ত্রীর সঙ্গে একটা তুমুল মনোমালিন্য হয়ে যায় তার সঙ্গে কখনও ঔরাতে এক বিছানায়
কাটাতে হয় না।
মুল
বই- বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পর্দা
কুতুব উল আকতাব অধ্যাপক (অবঃ) আলহাজ্জ হযরত মাওলানা
মোহাম্মদ আযহারুল ইসলাম সিদ্দিকী সাহেব (রহঃ)
বি.এ (অনার্স), এম.এ, এফ.এম,এল,এল,বি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) পীর সাহেব, মানিকগঞ্জ
No comments:
Post a Comment